ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নেদারল্যান্ডসে। এই বিক্ষোভে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে। বিক্ষোভকারী লাল পোশাক পরে ইসরায়েলের প্রতি ডাচ সরকারের নীতির প্রতিবাদে মিছিল করেছে।
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা যুক্তি দিয়েছেন যে ইরানের বিরুদ্ধে চলমান সামরিক অভিযান প্রয়োজনীয় ছিল কারণ দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে কয়েক মাস দূরে ছিল।
ইসরায়েলি হামলায় স্থানীয় সময় রোববার রাতে ইরানের অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা শাখার প্রধানসহ ও দুই ইরানি জেনারেল নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল লক্ষ্য করে ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সব স্তর ভেদ করে তেল আবিব, হাইফাসহ ৫ শহরে শহরে আঘাত হানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। সোমবার (১৬ জুন) রাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
সরায়েলের ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। গত ৪৮ ঘণ্টায় এসব ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার ভূপাতিত করা হয়। ইরানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডার আহমাদ আলি জানিয়েছেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করা ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার গুলি করে নামানো হয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রোববার (১৫ জুন) বলেছেন, ইসরাইলে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর জন্য ইরানকে ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, চলমান সংঘাত বন্ধে ইরান ও ইসরায়েল ‘একটি চুক্তিতে পৌঁছাবে’। তিনি বলেন, সংঘাত বন্ধে করতে বহু ফোনকল ও বৈঠক এখন চলছে।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কিছুক্ষণ আগে ইরান থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
ইসরায়েলি সরকারের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে ইসরায়েলে ইরানের হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত এবং ৩৮০ জন আহত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক বলেছেন, ইসরাইলের নৃশংস ও ভয়াবহ আগ্রাসনের প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত, সেনাবাহিনীর সৈন্যরা ইরানের পবিত্র ভূখণ্ড রক্ষার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
ইসফাহানের নিরাপত্তা বিষয়ক ডেপুটি গভর্নর আকবর সালেহি হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে, ওই হামলায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করা দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান। রোববার (১৫ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।