| বঙ্গাব্দ
Space For Advertisement
ad728

পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে ইরান-ইসরায়েল

  • আপডেট টাইম: 15-06-2025 ইং
  • 49866 বার পঠিত
পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে ইরান-ইসরায়েল
ছবির ক্যাপশন: হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আগুন লেগেছে [শির তোরেম/রয়টার্স]

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

রোববার ( ১৫ জুন) ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।

গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানের

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।

ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।

হামলায় রেহভোত শহরে ওয়েইজমান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়েরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে বাত ইয়াম এলাকা। হামলায় সেখানে বেশ কয়েকটি ভবন একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

ইরানের হামলার মধ্যেই গতকাল ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় মধ্য ইসরায়েলের জাফা শহরে কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা। মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে হিজবুল্লাহ, হামাসসহ তেহরানপন্থী আরও বিভিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে। তবে ২০ মাস ধরে চলা গাজা সংঘাতের জেরে হামাস এবং লেবানন সংঘাতের কারণে হিজবুল্লাহ সামরিকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে।

ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর ‘আয়রন ডোম’ নামের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিয়ে সুরক্ষিত। তবে গত তিন দিনে ইরানের হামলায় এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ্যে আসছে বলে মনে করেন দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের বিশ্লেষক মুহানাদ সেলুম। আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, আয়রন ডোম সাধারণত স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে সক্ষম। তবে ইরান থেকে ক্রুজ, ব্যালিস্টিক ও হাইপারসনিকের মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে দেখা গেছে। আর ইরান থেকে একসঙ্গে যে পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে, তা আয়রন ডোমের প্রতিহত করার সক্ষমতার চেয়ে বেশি।

ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে হামলা

শনিবার রাতে ইরানেও ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, এদিন রাতে ইরানের দক্ষিণাঞ্চল বুশেহর প্রদেশে সাউথ পার্স গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওই গ্যাসক্ষেত্রে আগুন ধরে যায়। এ ছাড়া তেহরানের একটি তেল শোধনাগারেও হামলা চালানো হয়। গতকালও সেখান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের ইস্পাহান শহরে অবস্থিত দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট একটি স্থাপনা। তবে গতকাল দিনের বেলা চালানো ওই হামলায় কেউ হতাহত হননি বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর আকবার সালেহি। এর কিছু আগে ইরানের শিরাজ শহরের একটি ইলেকট্রনিক কারখানায় হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় পুরো এলাকা।

গতকাল ইরানের কেরমানশাহ শহরে ঘোড়ার একটি আস্তাবলেও হামলা হয়েছে। ইরানি বার্তা সংস্থা আইএসএনএর প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, ওই হামলায় আস্তাবলে থাকা ৫০ থেকে ৬০টি ঘোড়া মারা গেছে। এদিন ইসরায়েলের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডার আহমাদ আলী জানিয়েছেন, আগের ৪৮ ঘণ্টায় তাঁরা ইসরায়েলের ৪৪টি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছেন।

এদিকে তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতে হামলার আগে সেখানকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট সব স্থাপনায় হামলা হবে। নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ পাওয়ার পর তেহরানের এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি আমার বাড়িঘর ছেড়ে যেতে পারব না, মা-বাবাকে ছেড়ে যেতে পারব না। এখন তাহলে আমি কী করব?’

হতাহত, ক্ষয়ক্ষতি

চলমান সংঘাতের যেসব হিসাব সামনে আসছে, তাতে ইসরায়েলের চেয়ে ইরানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত তিন দিনে ইরানের হামলায় ইসরায়েলে মোট ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৮০ জন। এই সময়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরানের সামরিক বাহিনী। এতে ইসরায়েলের ২২টি এলাকা আক্রান্ত হয়েছে।

তিন দিন ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ, ফর্দো ও ইস্পাহান পরমাণু স্থাপনা এবং বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকেন্দ্রে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যমে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রকাশিত তথ্য উল্লেখ করে বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ১২৮ জন। আহত ৯ শতাধিক মানুষ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন।

‘ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে আমরাও করব’

পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে শনিবার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইরান ও ইসরায়েল। গতকালও একই কথা বলেছিলেন ইরানের সেনাপ্রধান। তবে পরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘আগ্রাসনকারীরা (ইসরায়েল) যদি হামলা বন্ধ করে, তাহলে আমাদের পাল্টা জবাবও বন্ধ হবে।’

ইরানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলের যে ভয়, তা নিয়েও কথা বলেন আরাগচি। তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির কোনো ইচ্ছা নেই। শান্তিপূর্ণ কাজেই পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ব্যবহার করা হবে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে বৈঠকের কথা ছিল, তাতে বিষয়টি সমাধানের একটি প্রস্তাব করতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তবে ইসরায়েল চায় না তেহরান-ওয়াশিংটন কোনো সমাধানে পৌঁছাক।

অপর দিকে গতকালও ইরানের উদ্দেশে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামলায় বিধ্বস্ত বাত ইয়াম শহরের একটি স্থান পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার জন্য ইরানকে চড়া মূল্য দিতে হবে। নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালাচ্ছি। মনে করি, এটি ইসরায়েলের প্রত্যেক নাগরিক বুঝতে পারছেন।’

ইরানকে ‘শায়েস্তা করতে’ ইসরায়েল দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনাও করেছিল বলে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল কি এখনো কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। তারা এমনটা না করা পর্যন্ত আমরা তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’

পাল্টাপাল্টি এসব পদক্ষেপের মধ্যে নতুন শঙ্কা যোগ করেছেন ইরানের আইনপ্রণেতা ইসমাইল কোসারি। ইরানের বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। হরমুজ প্রণালি পারস্য উপসাগরে যাওয়ার একমাত্র সামুদ্রিক পথ। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ এ পথ দিয়ে পরিবহন করা হয়।

ইরানের কী করার আছে

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এই সংঘাত বন্ধে এরই মধ্যে আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এ নিয়ে ফোনালাপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে একমত হয়েছে রিয়াদ ও লন্ডন।

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এমন পরিস্থিতিতে ইরান কী করতে পারে, তার একটি ধারণা দিয়েছেন অ্যালান আয়ার। একসময় যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে বিভিন্ন পরমাণু আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। অ্যালান আয়ার বলেন, দেশের ভেতরে মুখ রক্ষার জন্য ইরানকে ইসরায়েলের হামলার সামরিকভাবে জবাব দিতে হবে। তবে এভাবে তারা ইসরায়েলকে থামাতে পারবে না।

ইরান কূটনৈতিক পথেও হাঁটতে পারে বলে উল্লেখ করেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, কূটনৈতিক সমর্থন দেওয়ার মতো মিত্রের সংখ্যাও বিশ্বে ইরানের কম। আর সামরিক লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কথায় কান দেবে বলে মনে হয় না। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সামনে সবচেয়ে ভালো পথটা হলো ইসরায়েলের হামলার জবাব দিয়ে যাওয়া। পরে যখন ইসরায়েল থামবে, তখন ইরান নিজেদের প্রতিরক্ষা কৌশল নতুন করে সাজিয়ে নিতে পারবে—এমনকি পরমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টাও করতে পারবে।

রিপোর্টার্স ২৪/এম

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

ad728
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ নতুন ঠিকানা - সংবাদ রাতদিন সাতদিন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ জোন ২৪