| বঙ্গাব্দ
Space For Advertisement
ad728

পদ্মায় ৪২ কেজির মহাবিপন্ন বাগাড়, ৬২ হাজার টাকায় বিক্রি

  • আপডেট টাইম: 29-06-2025 ইং
  • 17624 বার পঠিত
পদ্মায় ৪২ কেজির মহাবিপন্ন বাগাড়, ৬২ হাজার টাকায় বিক্রি
ছবির ক্যাপশন: পদ্মায় ৪২ কেজির মহাবিপন্ন বাগাড়, ৬২ হাজার টাকায় বিক্রি

সনত চক্র বর্ত্তী,ফরিদপুর : 

ফরিদপুরের পদ্মা নদীতে এক জেলের হাজারে বরশিতে ধরা পড়েছে প্রায় ৪২ কেজি ওজনের মহাবিপন্ন বিশাল এক বাগাড় মাছ। 

শনিবার (২৮ জুন) দিবাগত রাতে চরভদ্রাসন উপজেলার হাজার বিঘার চরের আদু শেখের বরশিতে এই বাগাড়টি ধরা পড়ে। এরপর তিনি বিক্রির জন্য ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর হাজিগঞ্জ বাজারে আনলে স্থানীয় প্রায় ১৮ জন ভাগীদার মিলে ৬২ হাজার টাকায় কিনে নেন মাছটি। এরপর তারা ১৮ ভাগে সেই মাছ কেটে নেন।

স্থানীয় মৎস্যজীবী ও জেলেরা জানান, পদ্মা নদীতে পানি বাড়তে থাকায় মাঝেমধ্যে জেলেদের জালে রুই, কাতলা, পাঙাশ ও বড় বোয়াল‌মাছ ধরা পড়ছে ইদানিং। জেলে আদু শেখ সহ অনেকে শনিবার রাতে হাজার বিঘা এলাকার পদ্মা নদীতে মাছ শিকারে বরশি পাতেন। শেষ রাতের দিকে তার বরশিতে এই মাছটি আটকা পড়ে। পরে বাগাড়টি টেনে নৌকায় তুলে বিক্রি জন্য চর হাজিগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসেন। ‌

এদিকে বিশাল বাগাড় ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বাজারে ভিড় করেন উৎসুক অনেকে। আড়তে বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১৮ জন ভাগীদার মিলে মাছটি কিনে নেন। 

মাছ কিনে নেয়া বাবুল নামে একজন জানান, পদ্মায় জেলে আদু শেখের বরশিতে বিশাল আকারের বাগাড় ধরা পড়ার খবর পেয়ে ছুটে আসেন। বিক্রির জন্য আড়তে নিলামে তোলা হলে ওজন দিয়ে দেখেন বাগাড়টি প্রায় ৪২ কেজি। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তারা ৬২ হাজার টাকায় কেনেন মাছটি। এত বড় বাগাড় মাছ এ বছর এই এলাকায় প্রথম পদ্মা নদীতে ধরা পড়েছে বলে তিনি জানান।

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (IUCN) তালিকা অনুযায়ী বাগাড় একটি মহাবিপন্ন প্রাণী। এটিকে "ক্রিটিক্যালি এন্ডেঞ্জার্ড" (Critically Endangered) বা মহাবিপন্ন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যার অর্থ প্রকৃতিতে এর বিলুপ্ত হওয়ার চরম ঝুঁকি রয়েছে। 

বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী বাগাড় শিকার, ধরা ও বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন থাকা সত্ত্বেও বাস্তবায়ন না থাকায় বাগাড় শিকার ও প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি অব্যাহত আছে। নিলামে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাগাড় বিক্রি হলেও আইনত কোনো পদক্ষেপ নজরে আসেনি।

ফরিদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বলেন, খাবারের খোঁজে বা প্রজনন মৌসুম হওয়ায় বাগাড় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বাগাড় শিকার ও বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও মৎস্য সংরক্ষণ আইনে এমনটি নেই। বড় মাছ হলে জেলেরা ধরতে পারবে। ঝাটকাসহ কিছু ছোট মাছ ধরার বিষয়ে আমাদের অভিযান চলে এবং আমরা সেগুলো ততরকি করি।  তবে বড় মাছ ধরার ক্ষেত্রে আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না



.

রিপোর্টার্স২৪/এস

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

ad728
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ নতুন ঠিকানা - সংবাদ রাতদিন সাতদিন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ জোন ২৪