রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক :
পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজিএস) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি করছে বলে জানিয়েছে সাম্প্রতিক টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র্যাংকিং ২০২৫।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) সারা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে।এই র্যাংকিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং কমিউনিটি সেবার মাধ্যমে জাতিসংঘের ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়েবসাইট ১৮ জুন ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৫’-এর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
সেখানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামও।
নতুন তালিকায় দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ ১০-এ উঠে এসেছে। এ ছাড়া, ১৭টি পৃথক এসডিজি র্যাংকিংয়ের মধ্যে ১০টির শীর্ষস্থানে রয়েছে কোনো না কোনো এশীয় বিশ্ববিদ্যালয়—যা গত বছরের পাঁচটি থেকে দ্বিগুণ। বিশেষ কিছু এসডিজি অর্জনে দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি এবং মালয়েশিয়ার দুটি বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষস্থানে রয়েছে।
পাশাপাশি হংকং, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং এমনকি ইরাক থেকেও একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় উঠে এসেছে শীর্ষে।
এই বছর সামগ্রিক র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি এশিয়ার, যেখানে গত বছর ছিল মাত্র ১২টি। অস্ট্রালেয়া থেকে এসেছে ১১টি, ইউরোপ থেকে ৯টি, উত্তর আমেরিকা থেকে ৮টি এবং আফ্রিকা থেকে মাত্র একটি।
অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঐতিহ্যগতভাবে এই র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করে আসছে।
এবারও ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি টানা চতুর্থবারের মতো এক নম্বরে রয়েছে। চতুর্থ স্থানে যৌথভাবে রয়েছে গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব তাসমানিয়া।
উত্তর আমেরিকার তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ ১০-এ স্থান করে নিয়েছে। সেগুলো হলো, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি (টেম্পি), কুইন্স ইউনিভার্সিটি (যৌথভাবে ষষ্ঠ), ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা (অষ্টম)। যুক্তরাজ্য থেকে কেবল ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার শীর্ষ ১০-এ অবস্থান করছে, দ্বিতীয় স্থানে।
আর ডেনমার্কের আলবর্গ ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে নবম স্থানে রয়েছে।
টাইমস হায়ার এডুকেশন ‘ইমপ্যাক্ট র্যাংকিং’ (বাংলাদেশ)
এশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে করা এই তালিকায় দেখা গেছে, তালিকার ২০১ থেকে ২০০–এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)।
তালিকার ৬০১ থেকে ৮০০-এর মধ্যে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিট, ব্র্যাক ইউনিভারর্সিটি, গ্রীন ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
তালিকার ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে রয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি ( আইইউবিএটি) ও গাজিপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
১০০১ থেকে ১৫০০-এর তালিকায় রয়েছে, বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভারর্সিটি বাংলাদেশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভারর্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (ডাব্লিউইউবি)।
এ ছাড়া ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, সেস্ট ইউনিভার্সিটি, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ১৫০১+ অবস্থানে রয়েছে। সূত্র : টাইমস হায়ার এডুকেশন
.
রিপোর্টার্স২৪/এস