| বঙ্গাব্দ
Space For Advertisement
ad728

দেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে: মঈন খান

  • আপডেট টাইম: 16-06-2025 ইং
  • 46591 বার পঠিত
দেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে: মঈন খান
ছবির ক্যাপশন: ছবি সংগৃহীত

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষকে যদি কেউ বলে যে, তুমি কি পোলাও কোরমা চাও নাকি, তুমি ভোট দিতে চাও। তখন বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু বলবে যে, আমি ভোট দিতে চাই। না খেয়ে থাকলে অসুবিধা নেই। এটা (ভোট) বাংলাদেশের মানুষের রক্তের ভিতরে মিশে আছে। তারা উৎসবমুখোর পরিবেশে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে।

সোমবার (১৬ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।

বিএনপি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপার্সনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

বৈঠকের পর ড. আবদুল মঈন খান জানান, সারাহ কুকের সঙ্গে দেশের চলমান অবস্থা, রাজনীতি, শিক্ষা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতাসহ সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এবং আগামীতে বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চায় তা নিয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। 

নির্বাচন নিয়ে কী কথা হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম যারা দীর্ঘ ১৭ বছর  ভোট দিতে পারেনি, বাংলাদেশের কোটি-কোটি মানুষ তারা ভোট দিতে চায়। তো কাজেই ভোটের ব্যাপারে যখন একটা নিশ্চিত কোন ইঙ্গিত যখন সরকারের পক্ষ থেকে আসে, যখন বলা হয় যে নির্বাচন কমিশন তাদের দেশবাসীকে জানাবে ভোটের তারিখ। তখন তো বাংলাদেশের মানুষ উচ্ছাসিত হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আলোচনা করেছি যে ভবিষ্যতে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ যখন বাংলাদেশে পুরোপুরি ফিরে আসবে তখন এ দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার, যখন এখানে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তখন বিলেতের সঙ্গে আমরা ভবিষ্যতে কোন-কোন বিষয়ে ও কার্যক্রম উন্নত করতে পারি। জোরদার করতে পারি সেটা নিয়ে আলোচনা  হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৩ জুনের পর থেকে বাংলাদেশের একটা গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা কিন্তু অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। যে যেই কথাই বলুক না কেন। মানুষ এখন উৎসাহী, একটা সামনের দিকে তাকাচ্ছে। মানুষ সেখানে চিন্তা করছে যে দেশে আবার গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এই গণতন্ত্রের জন্যই তো বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল। 

মধ্যপ্রাচ্যর অস্থিরতা নিয়ে নিয়ে মঈন খান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের এটার উদ্ভব কিন্তু সেই গাজা উপত্যাকা থেকেই। কাজেই এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে যে সার্বিক বিশ্বে এই যে একটা অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে, আসলে এটা তো কোন সুস্থ পরিবেশ নয়। ইরান এবং ইসরায়েলের সর্বশেষ যে দ্বন্দ শুরু হয়েছে। আমামদের একটাই কথা আমরা শান্তিময় একটা বিষয় দেখতে চাই। এখানে কনফ্লিক্ট কিন্তু সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারন মানুষ। বেনিফিটেড হয় কে কার? যারা সমরাস্ত্র বানায়, যারা ড্রোন বানায় ব্যবসায়ী কমিউনিটি। তারা চায় যে যুদ্ধ হলে এগুলা ব্যবহার হবে। আরো তারা অস্ত্র বিক্রি করবে। কিন্তু ক্ষতিটা কার হচ্ছে? নিরীহ মানুষ সাধারণ মানুষের। কাজেই এই যে দ্বন্দ এই যে একটা পরিস্থিতি এ থেকে বের হয়ে আসতে হবে এবং আমরা একটা শান্তিময় বিশ্ব দেখতে চাই।



রিপোর্টার্স২৪/আরএইচ

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

ad728
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ নতুন ঠিকানা - সংবাদ রাতদিন সাতদিন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ জোন ২৪