বিশেষ প্রতিনিধি, সায়েম উদ্দিন।।
জবি প্রতিনিধি :
জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তিরত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয় রবিবার।
নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করতে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।নবীন শিক্ষার্থী বরণ করতে প্রত্যেক বিভাগ সাজানো হয়েছে নতুনরুপে।
জুনিয়রদের বরণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং প্রত্যেক বিভাগ থেকে আলাদা আলাদাভাবে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করেন ইমিডিয়েট সিনিয়ররা।এতে উপহার হিসাবে রাখছেন খাতা,কলম,ব্যাগ,রিং,ট্রি-শার্ট ইত্যাদি।
নবীন বরণ উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ছিলো পুরোদিন।স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের পা রাখতে নবীনরা তীব্র উদগ্রীব। সবার মধ্যে খুশির আমেজ বইতেছে।
২০ তম আবর্তনের অনুজীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী মো ইফাত হোসেন মজুমদার তার অনুভুতি ব্যাক্ত করে বলেন,"যত এসব আপডেট পাচ্ছি এক্সাইটমেন্ট বাড়তেছে। আমরা জুনিয়ররা নতুন একটা ক্যাম্পাস আর নতুন পরিবার পেতে অনেক উৎসুক"।
২০ তম আবর্তনের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী মো সাব্বির হোসেন বলেন,পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ার স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই,কিন্তু জীবনের চড়াই-উতরাই দেখে হাল ছেড়েই দিয়েছিলাম বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু শেষমেশ স্বপ্ন সত্যি হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্গীত বিভাগে চান্স পাওয়ার মাধ্যমে। আর ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পর মুল আকর্ষণ সবারই থাকে নবীন বরণ। আজকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের নবীন বরণ সম্পূর্ণ হলো। সেই সাথে সম্পূর্ণ হলো আমাদের সঙ্গীত বিভাগের নবীন বরনও।
তিনি আরো বলেন,ভাইবা তে যেই শিক্ষকদের সামনে ভয়ে ঠিকমতো কথা বলতে পারিনি আজ তাদের বক্তৃতা শুনে নিজেকে তাদের পরিবারের সন্তানের মতো মনে হলো। এত সুন্দরভাবে স্যার-ম্যাম রা আমাদের সব বুঝালেন, জীবন নিয়ে উপদেশ দিলেন যা সহজে কেউ কখনো বলবেনা। আর আমাদের বিভাগের সিনিয়র রা যথেষ্ট ফ্রেন্ডলি, আগে ভাবতাম সিনিয়র মানেই শুধু যারা শাসন করে কিন্তু আমাদের বিভাগের সিনিয়র রা এতই মিশুক ছিলো আজকে বা বলার মতো না।হাসি, আড্ডা আর অপরিচিত অনেক বন্ধু বান্ধব ও সিনিয়রের সাথে পরিচয় হয়ে আজ সময়টা বেশ ভালোই গেল।
২০ তম আবর্তনের অর্থনীতি বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী বলেন, আজকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ক্লাস অনুষ্ঠিত হলো। নতুন বন্ধুবান্ধব পেয়েছি। আশা করি জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ভালো একটা জার্নি হবে।
হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের ২০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন রোহান বলেন, "প্রথমে একটু ভয় লাগছিল, কিন্তু সহপাঠীদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে একধরনের আত্মবিশ্বাস এসেছে। ক্লাসরুমের পরিবেশ ছিল খুবই ইতিবাচক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই-বোনরা অনেক সাহায্য করেছেন। কোথায় ক্লাস হবে, কোন বিল্ডিং কোনটা—সব কিছু গাইড করেছেন। খুব ভালো লেগেছে।
.
রিপোর্টার্স২৪/এস