বিশেষ প্রতিনিধি, masum।।
সিনিয়র রিপোর্টার : জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপে সব রাজনৈতিক দল উপস্থিত থাকলেও আলোচনায় অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংলাপের বিরতিতে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এ বিষয়ে ঐকমত্য কমিশন মন্তব্য করবে, আমরা না।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু হয়। আধা ঘণ্টা দেরিতে বৈঠক শুরু হলেও জামায়াতের কোনো প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদের আসনের পাশের আসনটি জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের জন্য রাখা হয়। তবে তা খালি দেখা যায়।
বৈঠকে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সালাহউদ্দিন আহমদ সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে জানিয়ে বলেন, আস্থা ভোট ও অর্থ বিল—এই দুই বিষয় বাদে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন। এ বিষয়ে সার্বিক ঐকমত্য হয়েছে।
তিনি বলেন, নারী আসনের সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করার বিষয়ে সকলের ঐকমত্য হয়েছে। নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।
সংসদ সদস্যদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, আস্থাভোট ও অর্থবিল ছাড়া সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। তবে বিএনপি এখনো তাদের লিখিত অবস্থানে রয়েছে।
তিনি জানান, কয়েকটি দল সংবিধান সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা (যুদ্ধ পরিস্থিতি) বিষয়ে একটি প্রস্তাব সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়টি দলের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে বিএনপি সেই অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করবে।
সংসদীয় কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাবলিক একাউন্টস, প্রিভিলেজ, এস্টিমেট ও আন্ডারটেকিংস–এই চারটি স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দলের সভাপতি থাকবেন। এছাড়া অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিতেও আসনসংখ্যার আনুপাতে বিরোধী দল থেকে সভাপতি নিয়োগে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, 'সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। আস্থা ভোট এবং অর্থ বিল ছাড়া [তারা] ভোট দিতে পারবেন।'
তিনি আরও বলেন, 'চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতির বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য কমিটিগুলো আনুপাতিক হারে বিরোধী দল থেকে নেওয়া হবে।'
বর্তমানে সংসদে নারীদের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে, যা পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করা হয়।
এর আগে এপ্রিলে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৩০০ করার প্রস্তাব করেছিল, যেখানে সব আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করার কথা বলা হয়েছে।
রিপোর্টার্স ২৪/এমবি