বিশেষ প্রতিনিধি, রিয়াদ হাসান।।
ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি হাসপাতাল বেডে ছটফট করছেন গৃহবধূ সীমা আক্তার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমা আক্তার ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের আব্দুল শেখের মেয়ে। পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় নগরকান্দা উপজেলার চাঁদহাট ইউনিয়নের গোপালবদ্দি গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মামুন মিয়ার সঙ্গে। তবে এটাই ছিল না মামুনের প্রথম বিয়ে- আগের দুটি বিয়ের তথ্য গোপন রেখেই সীমাকে বিয়ে করেন তিনি
বিয়ের পরই শুরু হয় সীমার উপর পারিবারিক নির্যাতন। শাশুড়ি ও ননদদের হাতে সীমা নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ পরিবারের। স্বামী বিদেশে থাকলেও তার পরিবারের কেউ সীমার প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন না। স্বামী মামুনের অনুপস্থিতিতেও জুলুম-নির্যাতন চলতে থাকে নানান অজুহাতে।
একমাত্র ছেলে আরাফের মুখের দিকে তাকিয়ে সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করছিলেন সীমা। কিন্তু নির্যাতনের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে বাধ্য হয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়। এরপর ঈদ উপলক্ষে স্বামী বাড়ি ফেরার খবর শুনে সীমা ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যান। বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী মামুনের মা ও বোন মিলে আবারও তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে সীমার বাবার বাড়ির লোকজন তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমা আক্তার শারীরিক যন্ত্রণা ও মানসিক ট্রমার মধ্যে দিয়ে সময় পার করছেন।
সীমার পরিবার স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও বিচার দাবি করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
রিপোর্টার্স২৪/আরএইচ